ইকুয়েটরিয়াল গিনির প্রধান শহর বাটার একটি সামরিক ঘাঁটিতে দফায় দফায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ৭ মার্চ রোববার এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনার জন্যে সেখানে ডিনামাইট মজুতে অব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় কৃষকদের আবর্জনা পোড়ানোকে দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। খবর ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির।
৯ মার্চ মঙ্গলবার বিবিসি জানায়, এ ঘটনায় আরও ৬১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি।
সোমবার সারাদিন ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালায় স্বেচ্ছাসেবীরা। প্রথমে আনুমানিক ৩১ জনের মৃত্যুর কথা বলা হলেও পরে সেই ধারণারও তিনগুণ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি শিশুকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট টেয়োডোরো ওবিয়াং এনগুয়েমা জানান, এ দুর্ঘটনায় শহরের প্রতিটি বাড়ি এবং ভবন মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি এ ঘটনার জন্য ডিনামাইট সংরক্ষণ ও দেখাশোনায় নিয়োজিতদের অবহেলাকে দায়ী করেছেন।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ফসলের জমি পরিষ্কারের জন্যে স্থানীয় কৃষকদের লাগানো আগুন না নেভানোর কারণেই এর সূত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতি সামলে উঠতে তিনি আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন করেছেন।
এদিকে একাধিক টুইট করে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাটা রিজিওনাল হাসপাতালে যাওয়ার জন্যে আহ্বান জানিয়েছেন গিনির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের প্রচুর রক্ত প্রয়োজন। যারা রক্ত দিতে আগ্রহী তারা যেন যোগাযোগ করেন। এছাড়া গুরুতর এবং খুব বেশি গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্যে তিনটি হাসপাতাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা টিওডোরো নিগমা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তারা হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান এবং কালো ধোঁয়া দেখতে পান। পরে আরও কয়েক দফায় বিস্ফোরণ হয়। ফলে গোটা এলাকায় ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
দেশটিতে দায়িত্বরত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত অলিভিয়ার ব্রোচেনিন এ ঘটনাকে বড় বিপর্যয় আখ্যায়িত করে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া স্পেনের রাষ্ট্রদূত তাদের দেশের নাগরিকদের ঘরে অবস্থান করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ১৯৬৮ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। এর আগ পর্যন্ত দেশটি স্প্যানিশ উপনিবেশ ছিল।
আরও পড়ুন : জাতিসংঘের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় ২০ শান্তিরক্ষী আহত
ভয়েস টিভি/এমএইচ